ময়মনসিংহ জিলা স্কুল
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন ভারতের সর্ববৃহৎ জেলা ময়মনসিংহে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রসিদ্ধ বিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ের অবস্থান ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে। বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ জিলা স্কুল রোড নামে পরিচিত। এই সরকারি বিদ্যালয়টিতে ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। পূর্ব এবং পশ্চিম বাংলার বহু গুণী ব্যক্তিত্বরা এ বিদ্যালয়ে তাদের বাল্যকাল অতিবাহিত করেছেন।
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল -এর ইতিহাস:
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল বাংলাদেশের প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম যা ৩রা নভেম্বর ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গৌরবমণ্ডিত বিদ্যাপীঠের নাম। যার রয়েছে দেড়শত বছরেরও অধিক সময়ের স্মরণীয় ইতিহাস। ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী বেগুনবাড়ীতে ১৭৮৭ সালে ময়মনসিংহ জেলার উত্থান ঘটে যার ‘নাসিরাবাদ’ নামে । ১৭৯১ সালে ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে বেগুনবাড়ি লুপ্ত হয় তারপর সেহড়া গ্রামে জেলা হেডকোয়ার্টার স্থানান্তরিত হয় । পরবর্তীতে ১৮১১ সাল তা শহরের মর্যাদা লাভ করে যার ফলে এখানে উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা হয়।
১৮১৩ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষা সনদ, ১৮২৩ খ্রিষ্টাব্দের সাধারণ শিক্ষা কমিশন, ১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দের অ্যাডাম কমিশন রিপোর্ট এবং ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দের লর্ড মেকলের ‘নিম্নগামী পরিস্রবন নীতি’র সুপারিশ এর সূত্র ধরে ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে তদনীন্তন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক নিযুক্ত কালেক্টর মিঃ এফ. বি. ক্যাম্প ভবন ও কাচারী সংলগ্ন স্থানে পুকুরের উত্তরে এক তলা দালানে একটি ‘মিডল ইংলিশ স্কুল’ স্থাপন করেন যর নাম দেয়া হয় ‘হার্ডিঞ্জ স্কুল’।
এখানে শুধু উচ্চবিত্তদের সন্তানরা পড়ার সুযোগ পেত এবং এই বিদ্যালয়টি হার্ডিঞ্জ স্কুল (১৮৪৬ থেকে ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত) নামেও পরিচিত ছিল। বর্তমানে এখানে ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান হয়। ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম প্রধান শিক্ষকের আসন অলংকৃত করেন বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর পিতা শ্রী ভগবানচন্দ্র বসু মহোদয়। পরবর্তীতে ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল এর প্রথম মুসলিম প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব মোঃ আব্দুস সামাদ। পরবর্তীকালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষা বোর্ডের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে কার্যরত ছিলেন।
১৮৫৭ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার কতৃক সরাসরি ইংল্যান্ড থেকে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহ শহর ‘পৌরসভা’ হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং বিদ্যালয়ের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর জন্য এবং ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে হান্টার কমিশনের সুপারিশক্রমে শ্রেণিকক্ষ আরো উন্নত করার লক্ষ্যে ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে পাকা ভিটওয়ালা বর্তমান ‘ময়মনসিংহ ল্যাবরেটরী স্কুল’ (বেসরকারী ল্যাবরেটরী স্কুল) ভবনে একে স্থানান্তর করা হয়েছিল। ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে জেলার প্রথম বাঙালি কালেক্টর রমেশ চন্দ্র দত্তের সময়ে জেলা বোর্ড গঠনের ফলে এবং ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে লর্ড কার্জনের সময়ে “শিমলা কনফারেন্স” এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ফলে ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান স্থানে জমি অধিগ্রহণ করে বিদ্যালয় ও ছাত্রাবাস ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে ৩০০ আসন বিশিষ্ট জিলা স্কুলটি এই নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়।
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল এর মূল ভবন এই লাল দালানটি প্রথমে এমন ছিল না। প্রথম এটি টিনের চালা ছিল। পরবর্তী ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে স্যাডলার কমিশন এবং ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে সার্জেন্ট পরিকল্পনার মাধ্যেমে এটির মান উন্ন্ত করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এখান ব্রিটিশ বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। যার কারণে বিদ্যালয়টিকে ‘দারুল হাছানা’ ভবনে স্থানান্তর করা হয় যা বিদ্যালয় গেটের উল্টোদিকে অবস্থিত।
১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশ ভাগের পর ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে আকরাম খাঁ শিক্ষা কমিশন এবং ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের আলোকে ময়মনসিংহের প্রথম ডেপুটি কমিশনার এস. এম. এ. কাজমীর সময়ে ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল কে “মাল্টিলেটারাল পাইলট স্কুল” এর মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার পাশাপাশি কারিগরি শাখা খোলা হয় এবং ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়টিতে বাণিজ্য শাখা খোলা হয়।
১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে নতুন করে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল এর সংস্কার কাজ শুরু হয়। স্কূল ভবনের ইট বিছানো মেঝে, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের ভেতর চারটি করে মোটা পিলার, টিনের চালওয়ালা বারান্দা, বিদ্যালয়ের উত্তর দিকে টিনের ঘের দেওয়া সার্ভিস ল্যাট্রিন অপসারণসহ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয় যেগুলো মিঃ ড্রিল নামের একজন আমেরিকান বিজ্ঞান শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে করা হয়।
১৯৫৬–৫৭ খ্রিষ্টাব্দের জিলা স্কুল ছাত্রাবাসের টিনশেড অংশে টি. টি. কলেজ ময়মনসিংহ এর শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জিলা স্কুল ছাত্রাবাসে ই.পি.আর ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করায় ছাত্রাবাসটি সাময়িকভাবে গুলকীবাড়ি রায়মণি লজে স্থানান্তর করা হয় এবং এটি “আঞ্জুমান মুসলিম হোস্টেল” নামে পরিচিতি লাভ করে। পরে ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ৪ আগস্ট ই.পি.আর. ছাত্রাবাসটি স্থানান্তর করা হয়।
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বিদ্যালয়ে দুটি অধিবেশনে শিক্ষাদান কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এগুলো হলো প্রভাতী অধিবেশন এবং দিবাকালীন অধিবেশন। সকাল ৭.৩০ থেকে প্রভাতী অধিবেশন এবং দুপুর ১২.০০ থেকে দিবা অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। এটি বালক বিদ্যালয় হলেও ১৯৯০–এর দশক থেকে এখানে পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও শিক্ষকতা করেন। প্রতি বছর এই বিদ্যালয়ে তৃতীয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছাত্র ভর্তি করা হয়। এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণিতে দুটি করে শাখা রয়েছে যথা ‘ক’ শাখা এবং ‘খ’ শাখা। অভিজ্ঞ এবং দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে উচ্চমানের শিক্ষা প্রদানকারী প্রাচীন বিদ্যালয়গুলির মধ্যে এটি একটি। পাশাপাশি, সরকারী বিদ্যালয় হওয়ায় লেখাপড়ার খরচও এখানে নিতান্ত কম।
ময়মনসিংহ ল্যাবরেটরী স্কুল -এ একটি উঁচুমানের বিজ্ঞানাগার, একটি সুপরিসর লাইব্রেরি, একটি কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, একটি ব্যায়ামাগার ও কর্মশালা রয়েছে। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও জীববিদ্যার প্রায়োগিক পাঠসমূহ সাধারণত বিজ্ঞানাগারে পড়ানো হয়। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর নিয়ন্ত্রিত আধুনিক শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। প্রতি কক্ষেই মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের সুব্যবস্থা রয়েছে।
বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ “সিসিটিভি ক্যামেরা” দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এছাড়াও বিদ্যালয় পিউরিফায়ার সহ বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রয়েছে। বিদ্যালয়ে একটি ঘাট বাঁধানো পুকুর রয়েছে যাতে প্রতি বছর সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। বিদ্যালয়ের মূল ভবনে বড় একটি হলঘর রয়েছে। যেখানে সভা–সমিতি এবং প্রতি বছর ইনডোর গেমসের আয়োজন করা হয়। এছাড়া দূরবর্তী ছাত্রদের অধ্যয়নের সুবিধার্থে বিদ্যালয়ের অদূরে একটি ছাত্রাবাস রয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস মাঠে প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বিদ্যালয়ে জাতীয় কিছু সংস্থার শাখা রয়েছে। যথা:-
- বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর – বিএনসিসি
- স্কাউট
- রেড ক্রিসেন্ট
- জিলা স্কুল বিতর্ক দল
- বিজ্ঞান ক্লাব: ইয়ুথ সায়েন্স ফোরাম
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলা ও অন্যান্য বিষয়ে অসংখ্য সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া আবৃত্তি, গান ইত্যাদি বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য রয়েছে। গণিত অলিম্পিয়াডের উচ্চ পর্যায়েও ছাত্রদের সাফল্য চোখে পড়ার মতো। খেলাধুলায় বিদ্যালয়টি অনেক এগিয়ে। ক্রিকেট, ফুটবল, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি, দাবা, হকি, টেবিল টেনিস সহ প্রায় সকল খেলাতেই এই বিদ্যালয়ের দলীয় ও একক সাফল্য রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সহ বিভিন্ন খেলার বিভিন্ন খেলোয়াড় এই স্কুলের ছাত্র।
বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই গড়ে তুলেছে কিছু সংগঠন। বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে গড়ে তোলা “ইয়ুথ সায়েন্স ফোরাম” যার মাঝে অন্যতম।
উল্লেখযোগ্য প্রক্তন ছাত্র:
- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী — প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক
- স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু — প্রখ্যাত বিজ্ঞানী
- আনন্দমোহন বসু— ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক প্রেসিডেন্ট
- মৌলভী হামিদ উদ্দিন আহাম্মদ — ময়মনসিংহের প্রথম মুসলিম গ্রাজুয়েট ও আনন্দমোহন বসুর বন্ধু
- জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা(১০ জুলাই ১৯২০ — ২৭ মার্চ ১৯৭১)
- সৈয়দ নজরুল ইসলাম — বাংলাদেশের ১ম উপরাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি
- এম আর আখতার মুকুল — স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের চরমপত্রের পরিচালক, লেখক ও কথক ছিলেন
- আবু সাঈদ চৌধুরী — বাংলাদেশের ২য় রাষ্ট্রপতি
- আবুল কাসেম ফজলুল হক — ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাষ্ট্রচিন্তক
- কাজী কাদের নেওয়াজ — কবি ও শিশু সাহিত্যিক
- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ — কবি
- আতাউস সামাদ — প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট
- রাশেদ খান মেনন — রাজনীতিবিদ
- একেএম মোশাররফ হোসেন — সাবেক জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী
- জামিলুর রহমান খান — বুয়েটের সাবেক ভিসি
- বিচারপতি বদিউজ্জামান
- বিচারপতি আবদুর রউফ
- ড. শাহ মোহাম্মদ ফারুক — বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি
- রিয়ার এডমিরাল সুলতান আহমেদ — নৌবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান
- ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ
- ড. আশরাফ সিদ্দিকী — প্রখ্যাত লোক বিজ্ঞানী
- শহীদ শাহেদ আলী চন্নু — বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ
- মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ — ক্রিকেটার, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল
- মোশতাক আহমেদ রুহী — রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল বরাবরই বিভিন্ন পরীক্ষায় সফলতার সাথে ভালো অবস্থান ধরে রেখেছে। পিইসি, জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়টির সফলতা বহু বছর ধরেই সেরাদের কাতারে। ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের ছাত্রগণ প্রায় প্রতিবছর ৯৯–১০০% পাশের হার ও ছাত্রদের একটি বিশাল অংশ জিপিএ–৫ পেয়ে থাকে। বিদ্যালয়টি জেলায় তো বটেই দেশের শিক্ষা বোর্ডেও প্রথম সারির বিদ্যালয় হিসেবে চমৎকার ফলাফল করে আসছে। দেড় শতাধিক বছরের পুরনো এই বিদ্যালয়টি সবসময়ই লেখাপড়াসহ সকল বিষয়েই অঞ্চলের সেরা বিদ্যালয় হিসেবে বিবেচিত। ময়মনসিংহ বিভাগ এর “সেরা ডিজিটাল স্কুল” হিসেবে সম্প্রতি ময়মনসিংহ জিলা স্কুল স্বীকৃতি পেয়েছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের এই অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল ময়মনসিংহ জিলা স্কুল। বিদ্যালয়টির অসংখ্য শিক্ষার্থী মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং ১৩ জন শিক্ষার্থী শহীদ হন।