আনন্দ মোহন বসু
একাধারে শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, সমাজসেবক, রাজনীতিক ও সংগঠক আনন্দ মোহন বসু ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৪৭ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি গ্রামের এক সম্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম পদ্মলোচন বসু। তার প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু হয় ময়মনসিংহেই। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে মেধা তালিকায় ৯ম স্থান অধিকার করে এনট্রান্স পরীক্ষা পাশ করেন। এফএ এবং বিএ পরীক্ষা দেন প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে। উভয় পরীক্ষায়ই শীর্ষস্থান অধিকার করেন। ১৮৭০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি লাভ করেন। বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে ইংল্যান্ড যান। সেখানে কেমব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজ থেকে উচ্চতর গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করেন। অনার্সসহ ডিগ্রী পরীক্ষা তথা ট্রাইপস পরীক্ষা প্রথম শ্রেণী লাভ করে প্রথম ভারতীয় র্যাংলার হবার সৌভাগ্য অর্জন করেন। ১৮৭৪ সাল থেকে তিনি আইন ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
আনন্দমোহন বসু ১৮৮৪, ১৮৯০ এবং ১৮৯৫ সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের তীব্র বিরোধিতা করেন।
ময়মনসিংহ শহরে ময়মনসিংহ ইনস্টিটিউশন নামে বিদ্যালয় স্থাপন করেন (১৮৮৩), বর্তমানে এটি আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ নামে পরিচিত।
শিবনাথ শাস্ত্রীর সহযোগিতায় কলকাতায় সিটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এটি এখন আনন্দমোহন কলেজ (কলকাতা) নামে পরিচিত। কলকাতায় বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় স্থাপনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০ আগস্ট ১৯০৬ সালে আনন্দ মোহন বসু মৃত্যুবরণ করেন।